Flickr Gallery

Thursday, December 13, 2012

ছাড়িস না মা, কেঁদে বাঁচতে চাই না


ঠ্যাংঠেঙে ত্রিফলার ওপর বাতিময় কোলকাতা। যেখানে সেখানে শিলা পোঁতা। তুই একটা মাথামোটা। আমার জীবন সাদামাটা। হই বা আমি কেউকেটা। গান গাইছেন কচিনেতা। পাবলিকের নাভিশ্বাস। রাণীর হাঁসফাস। নিন্দুকের ফিসফাস। তবে কি গণেশ ওল্টাচ্ছে? না। গণেশ এত তাড়াতাড়ি ওল্টাবেনা। আর সাড়ে তিন বছরে তেত্রিশবার ডিগবাজি খেয়ে, চপ্পলের চ্যাটাং প্যাটাং শুনতে শুনতে এই গণেশ থেকেই যাবে। একেই তো কবি গোবরগণেশ বলেছিলেন। কি বললি? কোন কবি বলেছিলেন? কবে বলেছিলেন? আরে ধুর, কবি বলেননি তো তুই বলেছিলি নাকি? কবিরা কখন কি বলেন তা তুই জানিস নাকি! কবিদের মুখ দিয়ে অনেককিছু বলিয়ে নিতে হয়। নয়তো কথার দম থাকেনা। বুঝলি।

বুঝেই বা কি করার আছে! যা হবার তা হয়ে গেছে। অনেকদিন বাকি আছে। পাবলিক আনন্দে আছে। প্রচুর প্রচুর শিল্প এসে গেছে। কয়েক কোটি লোক মনে হয় কাজ পেয়ে গেছে। যারা কাজ পায়নি তারা নিতান্তই কুঁড়ের হদ্দ। কাজের এখন শেষ নেই। বিড়ি শিল্প। শাড়ি শিল্প। আলু শিল্প। শাঁকালু শিল্প। ‘স্মল স্কেল’ শিল্প। মারামারি শিল্প। কাটাকাটি শিল্প। রংবাজি শিল্প। তোলাবাজি শিল্প। গলাবাজি শিল্প। কোন্দল শিল্প। অঙ্কন শিল্প। সঙ্গীত শিল্প। ‘ঝিনচ্যাক’ শিল্প। শিল্পের অভাব নেই। শিল্পীরও অভাব নাই। দেশটা এখন শিল্পীময়। শিল্প আর শিল্পী জিলিপির মতো প্যাঁচ খেয়ে একাকার। নিন্দুকেরাই কিম্ভূতকিমাকার! কিছুই সহ্য হচ্ছেনা। ত্রিফলার খোঁচা খেয়ে লাফাচ্ছে। শিলার বহর দেখে হাঁফাচ্ছে। নীল সাদার রংবাজি দেখে চেঁচাচ্ছে। তা তোরা যা করার কর। কবি বলে গেছেন, বাবু চলে বাজার তো কুত্তা ভুকে হাজার। হাজার হাজার কুকুরের ভেউ ভেউতেও আমাকে কেউ টলাতে পারবেনা। আমার গণেশ তোরা কেউ ওল্টাতে পারবিনা। 

দেশটা এখন চক্রান্তেই আক্রান্ত। চক্রান্তই সর্বস্বান্ত করে ছেড়ে দেবে বলছে। কবি এইখানেই বলেছেন, রাধাকান্ত, তুমিই দেখছি শাসনটাকে করবে মাটি! যা বাব্বা! কবি কোথায় এসব বললেন? আরে, কবি কি একটা নাকি রে! অনেক অনেক কবি আছে। তুই ভ্যাবলাকান্ত। কবিতার কিছু বুঝিস! তোরা কি ভেবেছিস! আমাকে ধমকে-চমকে ঠান্ডা করবি! আমি হুনুমানের বাচ্চা। ওসব চমকানি আমাকে দেখাবিনা। লেজের ডগায় আগুন ধরিয়ে পুরো লঙ্কাদহন যাত্রা শিল্প ডেকে নিয়ে আসব। বেশি বকবক করবিনা একদম। 

পাবলিক ভ্যাবাচ্যাকা। চক্রান্তের চাকার তলায় পড়ে থেঁতলে মরছে। গুঁতোগুঁতি করে মরছে। উপোস করে মরছে। লজ্জায় মাথাকুটে মরছে। তবু চক্রান্তের চাকা গড়গড়িয়ে গড়িয়ে চলছে। প্রসন্নচিত্তে কিছু শিল্পী থ্যাঁতলানো কাকের ছবি আঁকছে। ব্রাত্যমন্ত্রীরা মাথা মুড়িয়ে সিনেমা শিল্পে মশগুল। গুলবাজ, ফেরেব্বাজ, রংবাজেরা গলাবাজি করছে। মামদোভুতের মামদোবাজি চলছে।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
বাংলা ব্লগ জগতের সিন্ধুতে আমরাও একটা বিন্দু। নেট ঘেঁটো বাঙালির আপ্যায়ণে বড় হচ্ছে। শৌভিকের লেখা পড়তে এই ব্লগে যান LEKHASHAUBHIK.BLOGSPOT.COM