Flickr Gallery

Tuesday, January 1, 2013

শাসকদলের আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা জারি হল


কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে আবার শাসক দলের কর্তারা তাঁদের নিম্নস্থানীয় কর্তাদের মুখ খুলতে বারণ করলেন। বিচারকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী বেচারাম ও মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি কটুক্তি করার পর শিল্পমন্ত্রী সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন। শাসকদলের নিম্নস্থানীয় নেতা ও নেত্রীরা ভেবেছিলেন পুরোন সতর্কবার্তার জের কেটে গেছে তাই আবার সবাই মিলে যা খুশি বলতে পারা যায়। নিম্নস্থানীয় নেত্রী সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকান্ড নিয়ে তাঁর দলেরই সুপ্রিমোর উক্তিকে সমর্থন করেছিলেন। শুধু একটু বেশি বলতে গিয়ে তিনি ‘খদ্দের’ ধরে এনেছিলেন। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন শাসকদলের উচ্চস্থানীয় নেতারা।অনুমান করা হচ্ছে, আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তার মতো এবার থেকে ঘন ঘন সতর্কবার্তা জারি করা হতে পারে।

আরেকজন নিম্নস্থানীয় নেত্রী বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ। তিনি দিল্লির একটি গণধর্ষণ কান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারাসাতেরই টাটকা একটি ধর্ষণ ও খুন কান্ডকে তাঁর কর্মসূচী থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা প্রসঙ্গের উত্থাপন করলে তিনি বলেছিলেন, ধর্ষণ আকছারই হচ্ছে, এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বড় শহরে ধর্ষণ হলে হইচই হয়, গ্রামেগঞ্জে হলে অতটা পাত্তা পায় না। ভারতের রাজধানী দিল্লি। সবচেয়ে বড় শহরও বটে। তাই হয়তো দিল্লির ধর্ষণের পাত্তা দিতে ডেপুটি স্পিকারকেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে হল। ধর্ষণের ওপর এইরকম মন্তব্য শাসকদলের উচ্চস্থানীয় নেতানেত্রীদের বেজায় চটিয়েছে। হতে পারে ডেপুটি স্পিকার বলে তিনি নিজেকে উচ্চস্থানীয় নেত্রী ভেবেছিলেন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন এসএমএস’এর ‘সতর্কবার্তা’ তাঁর ওপর লাগু হতে পারেনা। শোনা গেল এই দলের উচ্চস্থানীয় নেতা নেত্রীরা একজন নিম্নস্থানীয় নেত্রীর এহেন সদুক্তি শুনে বিরূপ হয়েছেন। তাঁকেও ‘আবহাওয়া দফতর’ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিও একজন নিম্নস্থানীয় তৃণমূল নেতা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও তাই। তাঁরা সতর্কবার্তা পেলেও বিরোধীদের খুঁত পেলেই বিষোদ্গার করছেন। তাঁরা কাকলি ও সোনালির মন্তব্যের বিপক্ষে মুখে রা কাড়তে সাহস করেননি। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মহল মনে করছে, কোন নিম্নস্থানীয় নেতাদের দলের অপর নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে। সুব্রত মুখার্জি তাই মুখ খোলেননি। ফিরহাদও খোলেননি। এইসব কান্ড কারখানা দেখে তো মনে হচ্ছে শাসক দলের সাংসদ কবীর সুমন দলের অতি উচ্চস্থানীয় নেতা। তিনি যখন তখন দলের যার তার সম্বন্ধে যেখানে সেখানে যা খুশী অবলীলায় বলে যেতে পারেন। ‘আবহাওয়া দফতর’-এর সতর্কবার্তা তাঁর ওপর প্রযোজ্য নয়। নিম্নস্থানীয়দের নেতা নেত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে, সোমেন মিত্র, শিখা মিত্র, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, এবং আরও অনেকে মুখে ফিতে বেঁধে বসে আছেন। কূল রাখতে গেলে পদ থাকেনা, পদ রাখতে গেলে কূল থাকেনা। বিড়ম্বনার সংসারে মুখ খুলতে একটু বিলম্ব হলে ক্ষতি কি!
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
বাংলা ব্লগ জগতের সিন্ধুতে আমরাও একটা বিন্দু। নেট ঘেঁটো বাঙালির আপ্যায়ণে বড় হচ্ছে। শৌভিকের লেখা পড়তে এই ব্লগে যান LEKHASHAUBHIK.BLOGSPOT.COM